বাঙালি সংক্ষিপ্ত, ঐতিহ্যবাহী এবং পটচিত্রের জন্য উপযুক্ত
“বনের মা” একটি ঐতিহ্যবাহী বাংলার ছোট গল্প, যেখানে এক ছোট মেয়ের স্বপ্ন ও শিল্পের মাধ্যমে প্রকৃতির রক্ষাকর্ত্রী “বনের মা”-কে জীবন্ত করে তোলা হয়েছে। এই গল্প প্রকৃতিপ্রেম, লোকবিশ্বাস এবং একতা নিয়ে তৈরি, যা পটচিত্র শিল্পের মাধ্যমে দৃশ্যায়নযোগ্য।

গল্পের নাম: বনেদের মা
এক সময়ের কথা। এক ছোট্ট গ্রাম ছিল, গ্রামের পাশে এক গভীর বন। লোকে বলত, সে বনে “বনের মা” থাকেন। তিনি এক দেবীর মতো — প্রকৃতির রক্ষক। গাছ, পশু-পাখি, নদী, মানুষ — সবার মঙ্গলের জন্য তিনি নিরবে পাহারা দেন।
কিন্তু একদিন এক লোভী ব্যবসায়ী সেই গ্রামে আসে। সে চায় বন কেটে কাঠ বিক্রি করতে। গ্রামের মানুষ বাধা দিতে চায়, কিন্তু কারও সাহস হয় না।
সেই রাতে গ্রামের এক ছোট মেয়ে — গৌরী — স্বপ্নে বনের মাকে দেখে। মা বলেন,
“গৌরী, তুমি যদি আমার ছবি আঁকো, আর আমার গল্প সবার মাঝে ছড়িয়ে দাও, তাহলে মানুষ আবার প্রকৃতিকে ভালোবাসবে। আমি তখন বাঁচাতে পারব আমার বন।”
সকালে উঠেই গৌরী শুরু করে ছবি আঁকা। মাটির ওপর আঁকে এক বিশাল পট — সেখানে আছে বনের মা, পশু-পাখি, গাছ, নদী, আর গ্রামের লোকজন যারা প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে আছে।
মেলায় সেই ছবি দেখে লোকজন বোঝে — বন শুধু কাঠ নয়, এটা তাদের প্রাণ। তারা একসঙ্গে দাঁড়ায়, প্রতিবাদ করে। লোভী ব্যবসায়ী চলে যায়।
বনের মা আবার শান্তিতে থাকেন, আর গৌরীর পটে জেগে থাকে তার গল্প।
পটচিত্রের উপাদান (চিত্রায়নের জন্য):
-
বনের মা — সবুজ শাড়ি, চুলে পাতা-ফুল, মুখে কোমলতা।
-
গৌরী — ছোট মেয়ে, হাতে তুলি ও রঙ।
-
বন — গাছ, বাঘ, হরিণ, পাখি, নদী।
-
ব্যবসায়ী — কালো পোশাকে, কুড়াল হাতে।
-
গ্রাম — কুঁড়েঘর, মানুষ, মেলা, একতা।
What's Your Reaction?






