গাছের বিয়ের দিন সংক্ষিপ্ত, ঐতিহ্যবাহী এবং পটচিত্রের গল্প পার্ট ০২
পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু অঞ্চলে, বিশেষ করে বাঁকুড়া ও বীরভূমে, আজও গাছের 'বিয়ে' দেওয়া হয়। এই আচারটি মূলত প্রকৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতা ও রক্ষার অঙ্গীকার হিসেবে পালন করা হয়।

এক গ্রামে ছিল এক পুরনো বটগাছ। গাছটি ছিল স্কুলের পাশে, ছেলেমেয়েরা তার ছায়ায় বসে পড়াশোনা করত, খেলত। গাছটা যেন গোটা গ্রামের জীবন্ত সাথী।
একদিন শোনা গেল পাশের রাস্তাটা চওড়া করার জন্য গাছটা কাটা হবে। গ্রামবাসীরা কেঁদে উঠল। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি পাকা।
তখন গ্রামের এক প্রবীণ মহিলা — হরিমণি — বললেন, “গাছটা আমাদের ছায়া, আমাদের সন্তানের মতো। ওর বিয়ে দিলে ও আর ‘জীবন্ত’ গাছ হবে। আইন বলে, বিবাহিত পবিত্র গাছ কাটা যায় না।”
তৎক্ষণাৎ গ্রামবাসীরা মিলে আয়োজন করল গাছের বিয়ে। বটগাছের সঙ্গে তার পাশের একটি অশ্বত্থ গাছের বিয়ে হল — সিঁদুর, মালা, আলতা, মন্ত্র, গান, সবই হল। ছোটরা আবির খেলল, বড়রা প্রণাম করল।
গাছের গায়ে লাল সুতোর আঁচল বাঁধা হল। পরদিন প্রশাসন এসে কিছুই করতে পারল না। গাছটিকে পবিত্র বিবাহিত দেবতার মতো মান্যতা দেওয়া হল।
আজও, প্রতিবছর সেই গাছদুটোর ‘বিবাহবার্ষিকী’ পালন করে গ্রামবাসীরা।
🎨 পটচিত্রের উপাদান (visual breakdown):
-
বট ও অশ্বত্থ গাছ — অলংকৃত, মালা পরা, লাল পাড়ের শাড়ি।
-
হরিমণি — সাদা শাড়ি, হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে।
-
গ্রামের লোকজন — মেয়েরা শঙ্খ বাজাচ্ছে, ছেলেরা ফুল ছড়াচ্ছে।
-
বিয়ে — আগুন, পাণ্ডিত, মালাবদল।
-
প্রশাসনের লোক — হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে।
-
শেষ দৃশ্যে — গাছ বেঁচে আছে, নিচে শিশুদের পাঠশালা চলছে।
এই গল্পটি বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি, কিন্তু শিল্পরূপে তুলে ধরার জন্য কিছু নাটকীয় উপাদান যোগ করা হয়েছে। যদি এরকম আর গল্প পেতে চান তাহলে আমার এই ব্লগ টি বাকি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন ।
What's Your Reaction?






